প্রতিবছরের মত এবারো আম পাড়ার সময় নির্ধারন করেছে রাজশাহী বিভাগের সকল জেলা প্রশাসন।
১৩ মে থেকে শুরু হয়ে তিন ধাপে পর্যায়ক্রমে আম নামানোর মৌসুম চলবে ২০ আগষ্ট পর্যন্ত।
এবার রাজশাহীতে ১৮ হাজার হেক্টর জমিতে দুই লাখ ১৬ হাজার মেট্রিকটন আম উৎপাদন হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
১৩ মে গুটি আম,
২০ মে গোপালভোগ,
২৫ মে লক্ষনভোগ,
২৫ মে রাণিপছন্দ,
২৮ মে খিরসাপাত/হিমসাগর,
০৬ জুন ল্যাংড়া,
১৫ জুন আম্রপালি ও ফজলি,
১০ জুলাই বারি-৪ ও আশ্বিনা,
১৫ জুলাই গোলমতী,
২০ আগস্ট ইলমতি আম নামাতে পারবেন চাষিরা।
তবে আম ১০০% পরিপক্কতার জন্য নিচের চার্ট অনুসরণ করুন।
কোন আম কোথায় পাবেন জেনে নিন
গোপালভোগ আম
গোপালভোগ কোথায় কোথায় বেশি উৎপাদিত হয় :চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী, নাটোর ও দিনাজপুর জেলায় গোপালভোগ আম সবচেয়ে বেশি উৎপাদিত হয়ে থাকে। এ ছাড়া দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সাতক্ষীরা জেলাতেও এ আমের চাষ হয়ে থাকে।
লক্ষ্মণভোগ আম
এই আম সাতক্ষীরা জেলায় সবচেয়ে বেশি উৎপন্ন হয়।মুলত লক্ষ্মণভোগ আম হচ্ছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ থেকে আসা আমের একটি জাত। এটি মালদহ জেলায় প্রচুর উৎপাদন হয়।
রাণিপছন্দ আম
চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নওগা, নাটর ও রাজশাহীতে এ আম চাষ হয়ে থাকে।
ক্ষীরশাপাতি আম
ক্ষীরশাপাতি: নবাবগঞ্জ জেলার সর্বত্র, বিশেষ করে শিবগঞ্জ উপজেলায় সর্বাধিক ক্ষীরশাপাতি আমের চাষ হয়ে থাকে। এছাড়াও রাজশাহী, নাটোর, দিনাজপুর, বগুড়া, নওগাঁ, পাবনা ও সাতক্ষীরা অঞ্চলে ক্ষীরশাপাতি আম উৎপন্ন হয়ে থাকে।
হিমসাগর আম
হিমসাগর: এই জাতের চাষ ব্যাপকভাবে হয়ে থাকে চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলায়, মেহেরপুর জেলার সদর উপজেলায়, সাতক্ষীরা জেলার সদর, দেবহাটা, কলারোয়া ও তালা উপজেলা এলাকায়। রাজশাহী জেলায় হিমসাগর আমের চাষ হয় কিন্তু তুলনামূলক ভাবে কম। এছাড়াও চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, সাতক্ষীরা এবং ভারতের নদীয়া জেলায় উৎপন্ন হয়।
ল্যাংড়া আম
ল্যাংড়া : এই জাতের আমের চাষ হয়ে থাকে বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জ, কুষ্টিয়া, ঠাকুরগাঁও বেশি পরিমাণে। এছাড়াও ভারতের পশ্চিমবঙগ, গোয়া, মুম্বাই, রত্নগিরি, বেঙ্গালুরুতে উৎপন্ন হয়ে থাকে।