ডাবল ডোজেই ঢুকতে পারবেন ইন্ডিয়া, লাগছে না নেগেটিভ সার্টিফিকেট।

দুই বছর পর বেনাপোল বন্দর দিয়ে ট্যুরিস্ট ভিসায় ভারত-বাংলাদেশের পাসপোর্টধারী যাত্রীদের যাতায়াত শুরু হয়েছে। এতে স্বস্তি ফিরেছে যাত্রীদের মধ্যে। করোনা সংক্রমণ রোধে ২০২০ সালের ১৩ মার্চ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল ভারত। পরে সংক্রমণ কমে এলে মেডিকেল ও বিজনেস ভিসা চালু হলেও এতদিন বন্ধ ছিল ট্যুরিস্ট ভিসায় যাতায়াত।
এখন থেকে আগরতলা ও বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ইন্ডিয়া যেতে ডাবল ডোজ ভ্যাকসিন থাকলে লাগছে না নেগেটিভ সার্টিফিকেট। ডাবল ডোজ ভ্যাকসিন নিলে ইন্ডিয়া যেতে লাগছে না নেগেটিভ সার্টিফিকেট!

করোনা শনাক্তের সংখ্যা কমতে শুরু করায় আন্তর্জাতিক ভ্রমণ বিধিনিষেধ শিথিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত।

আজ শনিবার ৯ই এপ্রিল ২০২২ থেকে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নিয়েছে, করোনার টিকার সম্পূর্ণ ডাবল ডোজ নেওয়া থাকলে বাংলাদেশের মানুষ করোনা সার্টিফিকেট ছাড়াই ভারত ভ্রমণ করতে পারবে। আজ থেকে এ নির্দেশনা কার্যকর করা হবে।

নতুন নির্দেশনায় বিমানবন্দর বা স্থলবন্দরে পৌঁছানোর পর ৭২ ঘন্টার মধ্যে বাধ্যতামূলক করোনার সার্টিফিকেট বাতিল করা হয়েছে। পাশাপাশি, ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ দেশ থেকে ভ্রমণকারীদের বাধ্যতামূলক অন এরাইভাল করোনা পরীক্ষার প্রয়োজন হবে না।

বিশ্বে মহামারী কিছুটা কমে যাওয়ায় অবশেষে ভারত সরকার বাংলাদেশ থেকে যাওয়া যাত্রীদের করোনা টেস্ট এর ব্যাপারে নিয়ম নীতি শিথিল করেছে আগে ইন্ডিয়া যেতে বাংলাদেশীদের করোনার সার্টিফিকেট লাগবে এতে করে জনপ্রতি পনেরশো টাকা করে খরচ হতো।

কি কি থাকতে হবে ভারত ভ্রমনে ?

ভারতীয় কর্তৃপক্ষের সাথে বাংলাদেশ ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ আলোচনা করে অবশেষে ভারতে প্রবেশের ক্ষেত্রে বাংলাদেশীদের জন্য কোন ধরনের করোনার সার্টিফিকেটের প্রয়োজন নেই তবে তার জন্য থাকতে হবে ২ অথবা ৩ ডোস টিকা নেওয়ার সার্টিফিকেট যদি আপনার দুই এবং তিন ভ্যাকসিন নেওয়ার সার্টিফিকেট থাকে ,তবে আপনি প্রবেশ করতে পারবেন ভারতে তবে ভারতে প্রবেশের পূর্বে আপনাকে সার্টিফিকেট অবশ্যই সাথে রাখতে হবে নতুবা আপনি করোনার নেগেটিভ সার্টিফিকেট নিয়ে ভারতে প্রবেশ করতে হবে

প্রতিদিন বাংলাদেশের স্থলবন্দর দিয়ে প্রচুর পরিমাণ যাত্রী ভিজিট ভিসায় ও মেডিকেল ভিসা ভারত ভ্রমণ করেন এবং যাদের করোনার সার্টিফিকেট না থাকে তাদের অনেক ভোগান্তি পোহাতে হয় অবশেষে তার অবসান হলো এখন থেকে আপনি সহজেই ভারত ভ্রমণ করতে পারবেন। আপনার তার জন্য দুই অথবা তিন ডোস করোনা টিকা নেওয়ার সার্টিফিকেট দেখাতে হবে. আপনাকে অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে যদি আপনার শরীরে কোন ধরনের লক্ষণ দেখা দেয় তাহলে অবশ্যই আপনি করোনা টেস্ট করে যাওয়াই ভাল.

তাই আশা করি এখন থেকে ভারত ভ্রমণের যেই প্রতিবন্ধকতা ছিল এতদিন তা অনেকটাই দূর হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। আপনি যখন ভারত ভ্রমণ করবেন স্থলবন্দর দিয়ে আপনার পাসপোর্ট ইমিগ্রেশনের কাগজপত্র সাথে রাখবেন পাশাপাশি আপনি অনলাইন থেকে ভ্যাকসিন দেওয়ার টিকা কার্ড সংগ্রহ করবেন। কিভাবে টিকা কার্ড সংগ্রহ করবেন তা নিচে দেওয়া লিংকে ক্লিক করে আপনি সহজেই জেনে নিতে পারবেন আসুন আমরা দেখে নেই কিভাবে আপনি সংগ্রহ করে ভারত ভ্রমণ করবেন।

ভারত ভ্রমনে পূর্বের নিয়ম

পরে ৩০ মার্চ থেকে বাংলাদেশে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাসগুলো বাংলাদেশিদের ট্যুরিস্ট ভিসা দেয়। এতে গত সোমবার (০৪ এপ্রিল) থেকে ট্যুরিস্ট ভিসায় দুয়ার খোলে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত ভ্রমণ। সহজে ভিসা মেলায় যাতায়াতে স্বস্তি ফিরেছে যাত্রীদের মাঝে। বাংলাদেশিদের ভিসা দিতে ভারতীয় দূতাবাস ৮৪০ টাকা চার্জ নিচ্ছে। আর বাংলাদেশ দূতাবাস ভিসা ফি নিচ্ছে ৮২৫ রুপি। সীমান্ত অতিক্রমের সময় বাংলাদেশ সরকার ভ্রমণ কর বাবদ ১২ বছরের উর্ধ্বে প্রত্যেক যাত্রীদের ৫০০ টাকা, ৫ থেকে ১২ বছরের মধ্যে যাত্রীদের ২৫০ টাকা আদায় করছে। ৫ বছরের নিচে শিশুদের ভ্রমণ কর মওকুফ রয়েছে।
 
ভারতগামী ট্যুরিস্ট ভিসার যাত্রী রবিউল আলম জানান, মেডিকেল ও বিজনেস ভিসায় অনেক ভোগান্তি। এখন সহজে ট্যুরিস্ট ভিসা মিলছে তাই অনেক খুশি। তবে ভারতীয়রা ডাবল ডোজ টিকায় করোনা পরীক্ষা ছাড়াই দেশের মধ্যে যাতায়াত করছে। কিন্তু বাংলাদেশিরা ডাবল ডোজ টিকায় ভারতে ঢুকতে পারছে না। ১৫শ’ টাকা খরচ করে করোনা পরীক্ষা করতে হচ্ছে। এ বৈষম্য উঠে গেলে উপকৃত হবো।