প্রানের পহেলা বৈশাখ আজ ১৪২৯ বাংলা অনুষ্ঠান সরাসরি দেখুন

প্রানের ১ লা বৈশাখ
আজ ১ লা বৈশাখ ১৪২৯ চোখে পরার সাথে শৈশবের স্মৃতিমাখা হারানো দিন গুলো উঁকি মারে আবছা আবছা ভাবে, কেমন যেনো পূলকিত ও শিহরিত হই। যতই স্মৃতির গভীরে প্রবেশ করি ততই নিজেকে অনেক রোমাঞ্চকর অনুভব করি।
মনেপড়ে ১লা বৈশাখের আগমন বার্তা। বেশ ক দিন চৈতির এলোমেলো হাওয়া প্রকৃতি ও মনে বিরাট প্রভাব বিস্তার করেছে।
প্রত্যেক দেশের ই একটা নিজস্ব স্বকিয়তা আছে। নিজস্ব সাংস্কৃতি ও কালচারের মাধ্যমে আত্বপ্রকাশ পায় বিশ্ব দরবারে। আমাদের ১ লা বৈশাখ মানে এক মহোৎসব। সকল ধর্ম বর্ন গোত্র সম্প্রদায়ের লোকজন এ উৎসব উৎযাপন করেন স্বনানন্দে।

ছোট বেলায় ১ লা বৈশাখ উপলক্ষে অনেক স্বপ্ন থাকতো।আমাদের এলাকায় মেলায় আঞ্চলিক ভাষায় গোলৈয়ায় প্রধান আকর্ষন ছিলো গরুর নাড়াই/ লড়াই। কার গরুর শিং কতো বড় সূচালো এবং ধারালো সেটা ছিলো এক রকম আকর্ষন। হার জীত নিয়েও নানা কুসংস্কার ছিলো যেমন ওজা,ফকির,তেল পড়া,বালুপড়া,তাবিজ তুমার ইত্যাদির জন্য ননা ফকিরের শরনাপণ্ন হওয়া।চৃজেজেজ্যছ্যঠটৌটৌটৌটবলোকন করা ছিলো১লা বৈশাখের আনন্দের বিরাট অংশ।

তারপর ছিলো কেনা কাটা বলতে ছেট চাকু আম কাটার কাটলি ও বাশি। এগুলের জন্য টাকা জোগার করা তখনকার দিনে খুবই কষ্ট সাধ্য ছিলো।এক বার শখ জাগলো পিয়ানো বাশি কিনবো (হারমোনিয়াম বাশি)তখন ঐ বাশিটির দাম ৪ ০ থেকে ৫০ টাকা হবে তা কেনার টাকা জোগাতে পারি নাই তিন চার মাসে। শেষ ভরসা ছিলো “মা”।মায়ের নিকট সব আবদারের সমাধান হতো খুবই দ্রুত।সেবার মেলা থেকে বাশি কিনে নিয়ে বাড়িতে এসে মনে হলো বিশ্ব জয় করে এসেছি এরকম মনোভাব যাহা ভাবতেই এখন অবাক লাগে।

পহেলা বৈশাখ আজ ১৪২৯ বাংলা অনুষ্ঠান সরাসরি দেখুন

এরপর কৈশর ও যৌবনে ১ লা বৈশাখ যেমন রমনার বটমূল, বাংলা একাডেমী প্রাঙ্গন,ছায়ানট এর সাংস্কৃতি অনুষ্ঠান বিভিন্ন শিল্পী বাউল,ভাটিয়ালি,মুর্শিদি গানে গানে মুখরিত টি এস সি চত্বর সর্বপরি আবাহমান বাংলার ঐতিহ্য বহন কারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের বর্নাঢ্য বৈশাখী পদ শোভাযাত্রা এবং নানা রঙ বেরঙের শঙ এবং বর্নিল পোষাকে ১ লা বৈশাখ দিনে দিনে বর্নাঢ্য হলেও শৈশবের প্রানের বৈশাখী মেলা আজও আমাকে নাড়া দেয়।
যুগযুগ ধরে বাঙালির সাংস্কৃতির ধারক ও বাহক ১ লা বেশাখ, “হালখাতার” যে নিদর্শন তা আরও উজ্জ্বল ও মহিমান্বিত হয়ে দেশ বিদেশে উৎযাপিত হয়ে বাঙালির সাংস্কৃতির বার্তা বয়ে বেড়াক সারা বিশ্বে এ কামনা করি।