স্বাধীনতার গৌরবময় ৫২ বছর হিসেবে ১৬ ই ডিসেম্বর ২০২২ পালন করা হচ্ছে । ইতিমধ্যে ৫১ বছর পার করে ৫২ বছরে পা দিয়েছে আমাদের বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিজয় দিন । এই স্বাধীনতা মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত হয়েছে১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধে ৩০ লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত এই স্বাধীনতা। ৫২ তম মহান বিজয় দিবস ১৬ ই ডিসেম্বর ২০২২ উদযাপন ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে।
৫২তম বিজয় দিবস ১৬ ডিসেম্বার ২০২২ঃ শুভেচ্ছা, এসএমএস, স্ট্যাটাস, কবিতা – নবরূপ
বর্তমান সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই নিয়ে অনেকেই অনেক ভাবে এই বিজয় দিবস উদযাপন করে থাকেন । বিভিন্ন ফেস্টুন ব্যানার মোবাইল SMS কবিতা শুভেচ্ছা বাণী, ফেসবুক স্ট্যাটা , হোয়াটসঅ্যাপ স্ট্যাটাস এর মাধ্যমে মহান বিজয় দিবস উদযাপন করে থাকেন । এছাড়াও বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পালিত হয় মহান বিজয় দিবস । আপনারা স্কুল-কলেজগুলোতে রচনা প্রতিযোগিতা খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক মাধ্যমে পালন করে থাকেন বিভিন্ন অনুষ্ঠান।
বিজয় দিবস শুভেচ্ছা বানী দেখতে ক্লিক করুণ
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে এসব অনুষ্ঠানে কিভাবে আপনি নিজেকে ফুটিয়ে তুলবেন তা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে এবং বিভিন্ন স্ট্যাটাস ছবি এইসব দেওয়া হয়েছে । আপনি এখান থেকে সহজেই সাহায্য নিয়ে নিজের মতো করে ১৬ ই ডিসেম্বর ২০২২ উৎযাপন করতে পারেন । আসুন আমরা ১৬ ই ডিসেম্বর ২০২২ উদযাপন করি।
৫২তম বিজয় দিবস ফেস্টুন ব্যানার
১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস কবিতা
মহান বিজয় দিবস সম্পর্কে মনের ভাব প্রকাশের জন্য অনেকেই কবিতা লিখে গেছেন। অনেকেই হয়তো প্রতিবাদের ভাষা কবিতা দিয়ে বুজিয়ে গেছেন । আসুন আমরা বিজয়ের আনন্দের জন্য কবিতা দিয়ে উৎযাপন করি আমাদের মনের ভাব।
এসো খোকা এসো খুকু
ঘুমিয়ে থেকো না আর
তাকিয়ে দেখ সম্মুখে তোমার
মুক্ত আলোর দুয়ার।
চলো খোকারা চলো খুকুরা
হও প্রাণ উচ্ছল
জাতি হিসেবে স্বাধীন তোমরা
রেখো দৃঢ় মনোবল।
তোমাদের পিতা তোমাদের মাতা
ছিলো এ দেশেরই সন্তান
স্বাধীন করতে এ দেশ তারা
করেছেন জান কোরবান।
তাদেরই আশিস পেয়েছো তোমরা
গড়ে তুলবে এ দেশ
সাজিয়ে দিও বাংলাদেশেরে
প্রাণ করে নিঃশেষ।
বিজয় কেতন
কিচিরমিচির পাখির সুরে উঠোন কোণে বসে
রোজ সকালে খোকন সোনা রঙের হিসাব কষে।
শিশির ভেজা মিষ্টি রোদের মায়ার পরশ মেখে
কিসের ছবি খোকন সোনা যাচ্ছো শুধুই এঁকে!
খোকার হাতে সবার চেনা দুইটা প্রিয় রঙ
কিন্তু মায়ের হয় না বোঝা খোকন সোনার ঠঙ।
ছবির আঁচড় দেখতে কেমন? ঠিক গোলাকার ডিম
তার উপরে আয়তক্ষেত্র দেখেই শরীর হিম!
খোকন সোনা মায়ের চোখে ক্যামনে দেবে ফাঁকি
কিসের ছবি বুঝতে মায়ের রইলো না আর বাকি।
ছবির গঠন দেখেই মায়ের চাঁদের হাসি গালে
কিসের ছবি? বিজয় কেতন সবুজ এবং লালে।
ঘুঘু পাখির বিজয়
একটি ঘুঘুর দুইটা ছানা তিড়িং বিড়িং নাচে
দূরের বনে বসতি তাদের শিউলী ফুলের গাছে।
হাসতো রোজই খেলতো রোজই ঘুরতো তারা বনে
বনটা তাদের মায়ের মতোই ভাবনা পুষে মনে।
একদা বনে আসলে শকুন করলো আদেশ জারি
থাকতে বনে রাখবে মনে আমার হুশিয়ারি।
কিন্তু ঘুঘুর বাচ্চা দুটো ভীষণ প্রতিবাদী
থাকবো নাকো রাজার শানে, এক কথা এক দাবি।
শুনেই শকুন চমকে উঠে দেখবো বেটা নবাব
রক্ত আগুন বুলেট ছুড়ে দিবোই কথার জবাব।
দেখবি তখন বুঝবি বাছা মরার কেমন সাধ
ঘুঘু ছানার কণ্ঠে তবু জয়ের প্রতিবাদ।
কিন্তু মায়ের হাজার-বারণ হৃদ মাজারে ভয়
ঘুঘু ছানার কণ্ঠে তবু জয় বাংলা জয়।
ছেলের মায়া প্রাণের মায়া আজকে মাগো থাক
বনটা জুড়ে রক্ত আগুন যুদ্ধে যাবার ডাক।
এমনি করে ঘুঘুর ছানা জয়ের মুকুট পরে
যুদ্ধ শেষে বীরের বেশে ফিরলো মায়ের ঘরে।
সেদিন থেকেই ওই পতাকা লাল-সবুজে আঁকা
বিজয় তুমি দেশ ও জাতির স্বপ্ন কাজলমাখা।