BD সরকারি কর্মচারীদের সম্পদ বিবরণী নতুন ফরম PDF ২০২৪ যেভাবে আবেদন করবেন।

২০২৪ সালে সকল সরকারি কর্মচারীকে সম্পদ বিবরণী দাখিল করতে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। ড. মোঃ মোখলেস উর রহমান সিনিয়র সচিব জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় নতুন এই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। 

২০২৪ সাল থেকে সরকার এর নতুন নিয়ম অনুযায়ী সরকারি কর্মচারীদের সম্পদ বিবরণী জমা দিতে হবে, আপনারা জানেন সরকার পরিবর্তন হয়ে নতুন সরকার ক্ষমতা গ্রহন করেছেন, অন্তরভরতী সরকার ক্ষমতায় এসেই নতুন করে সকল সরকারি কর্মচারীদের সম্পদ বিবরণী জমা দেওয়ার জন্য সময় সূচী প্রকাশিত হয়েছে।  সেপ্টেম্বের ২০২৪ এর মধ্যে আপনাকে এই বিবিরনী জমা দিতে হবে। সারা দেশে ১৫লক্ষ সরকারি কর্মচারী জব করে থাকে। নতুন সরকারি অফিস থেকে জানানো হয়েছে আপনি এই আবেদন প্রকাশের ১৫ দিনের মধ্যে আবেদন সম্পূর্ণ করতে হবে।

সরকারি কর্মচারীদের সম্পদ বিবরণীঃ Online Apply

সরকারি কর্মচারীদের সম্পদ বিবরণী ফরম পূরণের নিয়মাবলী নিম্নরূপ:

১. ফরম সংগ্রহ করুন: প্রথমে, সংশ্লিষ্ট সরকারি প্রতিষ্ঠানের বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অফিস থেকে নতুন সম্পদ বিবরণী ফরম সংগ্রহ করুন। এই ফ্রম অনলাইনে সম্পূর্ণ বাংলায় দেওয়া থাকবে। যাহারা কম্পিউটার জানেন আপনি সহজেই অনলাইন থেকে নিদিষ্ট ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে ফর্ম পূরন করতে পারবেন।

সরকারি কর্মচারীদের সম্পদ বিবরণী নতুন ফরম ২০২৪ পিডিএফ

২. ব্যক্তিগত তথ্য পূরণ করুন: ফরমে আপনার নাম, পদবি, কর্মস্থল, পদমর্যাদা, এবং অন্যান্য মৌলিক তথ্য সঠিকভাবে পূরণ করুন।

৩. সম্পদের বিবরণ দিন: আপনার ব্যক্তিগত এবং পারিবারিক সম্পদের বিস্তারিত বিবরণ উল্লেখ করুন। স্থায়ী ও অস্থায়ী সম্পত্তি  বিস্তারিত জেনে নিন এবং আপনার জমি, বাড়ি, গাড়ি, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, শেয়ার ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

স্থায়ী ও অস্থায়ী সম্পত্তি কোন গুলো জেনে নিন

৪. দলিল সংযুক্ত করুন: সম্পদের প্রমাণস্বরূপ প্রয়োজনীয় দলিল যেমন ভূমি রেজিস্ট্রি, গাড়ির ডকুমেন্ট, ব্যাংক স্টেটমেন্ট ইত্যাদি ফরমের সঙ্গে সংযুক্ত করুন।

৫. স্বাক্ষর ও তারিখ: ফরম পূরণের পর, নিচে আপনার স্বাক্ষর ও তারিখ উল্লেখ করুন। কিছু ফরমে আপনার স্বাক্ষরকারী কর্মকর্তা বা গেজেটেড অফিসারের সীল ও স্বাক্ষরের প্রয়োজন হতে পারে।

৬. ফরম জমা দিন: পূর্ণাঙ্গ ফরমটি পূরন সম্পূর্ণ হলে আপনার নির্ধারিত অফিসে জমা দিন। এটি সাধারণত প্রশাসনিক শাখা বা নির্ধারিত সংশ্লিষ্ট বিভাগে জমা দিতে হয়।

৭. ফরমের কপি রাখুন: জমা দেওয়ার পর, ফরমের একটি কপি নিজের কাছে সংরক্ষণ করুন। এটি ভবিষ্যতে যে কোনও প্রশ্ন বা সমস্যার ক্ষেত্রে কাজে আসতে পারে।

যদি আপনার কোনো নির্দিষ্ট তথ্য বা নির্দেশনার প্রয়োজন হয়, তাহলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বা প্রতিষ্ঠানটির সাথে যোগাযোগ করা বাঞ্ছনীয়।

স্থায়ী ও অস্থায়ী সম্পত্তির মধ্যে পার্থক্য সাধারণভাবে নিম্নরূপ:

আবেদনের সময় সমচেয়ে যে সমস্যা পডতে হয় তা হচ্ছে তা হচ্ছে স্থায়ী ও অস্থায়ী সম্পত্তি কোন গুলো এই বিষয় অনেকেই জানেন না। নিচের দেওয়া স্থায়ী ও অস্থায়ী সম্পত্তি অনুসরন করলে সহজেই আপনি আবেদন সম্পূর্ণ করতে পারেন।

স্থায়ী সম্পত্তি:

১. ভূমি অথবা জমি : আপনার মালিকানাধীন জমি বা প্লট।

2. বাড়ি ও আবাসিক সম্পত্তি: নিজস্ব বাড়ি, ফ্ল্যাট, কিংবা অন্যান্য আবাসিক নির্মাণ।

3. বাণিজ্যিক সম্পত্তি: অফিস, দোকান, গুদাম ইত্যাদি।

4. গাড়ি: গাড়ির ক্ষেত্রে কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম থাকে, তবে সাধারণত এটি স্থায়ী সম্পত্তির তালিকায় রাখা হয়।

5. যেকোনো নির্মাণ বা স্থাপনা: যেমন সেতু, শেড ইত্যাদি।

অস্থায়ী সম্পত্তি:

  1. ব্যাংক অ্যাকাউন্ট: আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে থাকা অর্থ।
  2. শেয়ার ও সিকিউরিটিজ: স্টক, বন্ড, মিউচুয়াল ফান্ড ইত্যাদি।
  3. মূল্যবান সামগ্রী: স্বর্ণ, রৌপ্য, হীরার জিনিসপত্র।
  4. বস্তুগত সম্পত্তি: যেমন ফার্নিচার, ইলেকট্রনিক ডিভাইস, ইত্যাদি।
  5. ঋণ বা লোন: ব্যাংক বা অন্যান্য ঋণ প্রতিষ্ঠান থেকে নেয়া ঋণ, যদিও এটি সাধারণত দায় হিসাবেও বিবেচিত হতে পারে।

স্থায়ী সম্পত্তি সাধারণত দীর্ঘমেয়াদী মালিকানাধীন থাকে এবং এর মূল্য বৃদ্ধি পেতে পারে, whereas অস্থায়ী সম্পত্তি স্বাভাবিকভাবে দ্রুত পরিবর্তিত হতে পারে বা তার মূল্য পরিবর্তিত হতে পারে।

আপনি যদি সরকারি কর্মচারী হন এবং সম্পদ বিবরণী পূরণ করছেন, তবে আপনার সমস্ত স্থায়ী এবং অস্থায়ী সম্পত্তির বিবরণ সঠিকভাবে প্রদান করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।