আজ থেকে সারাদেশে ধর্মঘটের কারনে ট্রেন চলাচল বন্ধ। কখন থেকে ট্রেন চলবে জেনে নিন

সম্মানিত ট্রেনে চলাচলকারী যাত্রীদের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, 

সারাদেশে ঢাকার সঙ্গে রেল যোগাযোগ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। অস্থায়ী কর্মচারীদের নিয়োগ স্থায়ী করতে আজ গাজীপুর রেলওয়ে সড়কে ধর্মঘট চলছে। সকাল ১১টায় শুরু হওয়া ধর্মঘট এখনো চলছে।

এ কারণে রেল চলাচল ব্যাহত হচ্ছে

রেলের অসৎ কর্মকর্তাদের দুর্নীতিতে আজ রেল দেউলিয়া। বাজেটের অভাবে বেতন, বোনাস, টিএ বিল দিতে পারতেছে না।

১৬০ বছর ধরে চলে আসা ৭৫% মাইলেজ অর্থ মন্ত্রনালয় কর্তৃক বাতিল করায় আজ কর্মবিরতি ঘোষনা করেছেন।

অর্থ মন্ত্রণালয় তাদের দাবি মেনে না নেওয়ায় চালকরা কমলাপুর রেলস্টেশনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন। ট্রেনের লোকো মাস্টার ও রানিং স্টাফ কর্মচারীরাও কর্ম বিরতিতে গেছেন।

দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এই কর্মবিরতি চলবে বলেও জানান তিনি। 

কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন ধর্মঘটের কারণে সকল ট্রেন চলাচল বন্ধ আছে।

১ঃএই মুহুর্তে তুরাগ ট্রেন কমলাপুর স্টেশন অবস্থান করছে।

২ঃতিতাস সান্টিং কারার কারনে আখাউড়া স্টেশন অবস্থান করছে।

৩ঃএকতা এক্সপ্রেস জয়দেবপুর দাঁড়িয়ে আছে।

৪ঃযমুনা এক্সপ্রেস ধীরাশ্রম স্টেশন দাঁড়িয়ে আছে।

৫ঃনোয়াখালী মেইল পুবাইল স্টেশন দাড়িয়ে আছে।

৬ঃরংপুর এক্সপ্রেস বিমানবন্দর স্টেশন দারিয়ে আছে।

৭ঃসুরমা মেইল আজমপুর স্টেশন দাঁড়িয়ে আছে।

যমুনা এক্সপ্রেস ধীরাশ্রম স্টেশন সবাই বিকল্প রাস্তা ব্যবহার করার জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে।

আরো জানুন…।

Bangladesh Railway E-Ticketing Service Verify Ticket

বাংলাদেশ রেলওয়ে এ-টিকেটিং সার্ভিস রেজিস্টার

বাংলাদেশ রেলওয়ে অনলাইনে ট্রেনের টিকিট

Train Online ticket Dhaka To Rajshahi Division

Login. Registration. Verify Ticket. Bangladesh Railway E-Ticketing Service

Bangladesh Railway E-Ticketing Service Register

ঢাকা কলকাতা মৈত্রী ট্রেনের সময়সূচি ভাড়া-বাংলাদেশ রেলওয়ে

রেল ওয়ের ধর্মঘট নিরসনে চেষ্টার জন্য যা করা হচ্ছে

সকাল সাড়ে ৯টায় কমলাপুর রেলস্টেশনে যান রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন। তবে তার সঙ্গে দেখা করেননি আন্দোলনকারীরা। তারা রেলস্টেশনের লোকোমোটিভে অবস্থান নিয়ে তাদের আন্দোলন অব্যাহত রাখে।

এরপর সকাল সাড়ে ১০টায় রেলওয়ের মহাপরিচালক (ডিজি) ধীরেন্দ্র নাথ মজুমদার একটি লোকোমোটিভে যান। তিনি আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলেন।

জানা গেছে, ট্রেনের চাকা সচল রাখতে একজন চালককে দিনে গড়ে ১৪ থেকে ১৬ ঘণ্টা গাড়ি চালাতে হয়। এ জন্য তাদের অতিরিক্ত মজুরি ও পেনশনের ৭৫ শতাংশ দেওয়া হয়। তারা কত মাইল কাজ করে এবং অতিরিক্ত সময় কাজ করে তার জন্য তারা একটি নির্দিষ্ট হারে ভাতা পায়। এটি রেল মাইলেজ হিসাবে পরিচিত।

সম্প্রতি রেলওয়ের অতিরিক্ত সুবিধা কমিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। এতে ক্ষুব্ধ ট্রেন চালকরা। এর আগে তিনি আট ঘণ্টার বেশি কাজ না করার ঘোষণাও দিয়েছিলেন। এ কারণে ট্রেনের সময়সূচি বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের মতে, ব্রিটিশ আমল থেকে চলন্ত ট্রেনে ডিউটি ​​করা চালক, গার্ড এবং টিকিট চেকারদের বিশেষ আর্থিক সুবিধা দেওয়া হয়। অতিরিক্ত সময়ে চালানো প্রতি ১০০ কিলোমিটার ট্রেনের জন্য, এক দিনের মূল বেতন দেওয়া হয়। পেনশনের সাথে অতিরিক্ত ৭৫ শতাংশ প্রদান করা হয়।

এই চালক ও গার্ডদের বেতন-ভাতা রেলওয়ের আলাদা কাঠামোতে দেওয়া হতো। কিন্তু গত বছরের ৩ ডিসেম্বর ‘ইবাস প্লাস প্লাস’ সফটওয়্যারের মাধ্যমে রেলওয়ের কর্মচারীদের বেতন-ভাতা দেওয়ার উদ্যোগ নেয় অর্থ মন্ত্রণালয়। এতে রেলওয়ে পরিবহন বিভাগের (রানিং স্টাফ) ‘মাইলেজ’ সুবিধা নেই।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত জানার পর, মাইলেজ সুবিধা চালুর দাবিতে চালক, গার্ড (ট্রেন ডিরেক্টর) এবং টিকিট চেকারদের দ্বারা নিয়মিত বিক্ষোভ, প্রতিবাদ সভা হয়েছে। তারা রেলমন্ত্রী, রেলওয়ের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদের চিঠি দিয়েছেন এবং একাধিক বৈঠকও করেছেন।