জনতাত্ত্বিক তথ্য | নাম, জন্মতারিখ(যাচাই)বা বয়স(ঘোষণা), লিঙ্গ, ঠিকানা, মোবাইল নম্বর (ঐচ্ছিক)এবং ইমেইল আইডি(ঐচ্ছিক) |
বায়োমেট্রিক তথ্য | দশ আঙ্গুলের ছাপ, দুই আইরিস স্ক্যান, এবং মুখের আলোকচিত্র |
আধার সংখ্যা কোনো ইন্টেলিজেন্স বর্জিত এবং বর্ণ, ধর্ম, আয়, স্বাস্থ্য এবং ভূগোল উপর ভিত্তি করা মানুষের প্রোফাইল নেই.আধার সংখ্যা পরিচয়ের একটি প্রমাণ, তবে এটি একটি আধার সংখ্যা ধারক সম্মান নাগরিকত্ব এবং বাসস্থান কোন অধিকার অর্পণ করেনা.
২০২২ সাল থেকে আধার কার্ড বদলে যাচ্ছে
২০২২ সাল থেকে আধার কার্ড বদলে যাচ্ছে। নতুন কার্ড হবে পিভিসি (পলিভিনাইল ক্লোরাইড)-র। যা জলে ভিজবে না, দুমড়ে মুচড়ে যাবে না। পকেটে বা টাকার ব্যাগে রাখা যাবে। চেহারা হবে ডেবিট, ক্রেডিট কার্ডের মতো। পুরনো আধার কার্ড থাকলেও চাইলে নতুনের আবেদন করা যাবে। এমনটাই জানিয়েছেন আধার কর্তৃপক্ষ ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন অথরিটি অব ইন্ডিয়া (ইউআইডিএআই)। এর জন্য খরচ হবে ৫০ টাকা।
এবার জেনে নিন ঠিক কী কী সুবিধা নতুন এই কার্ডে।
১। খুব ভাল ছাপা এবং ল্যামিনেশন।
২। এটা অনেক টেকসই এবং সঙ্গে নিয়ে ঘোরাঘুরির সুবিধা।
৩। এতে যুক্ত হয়েছে হলোগ্রাম, ঘোস্ট ইমেজ, মাইক্রোটেক্সট-এর মতো নতুন কিছু নিরাপত্তা ফিচারস।
৪। এটা পুরোপুরি ওয়াটার-প্রুফ।
৫। অফলাইন কিউআর ভেরিফিকেশনের সুযোগ।
৬। এই কার্ডে ইস্যু করার ও মুদ্রণের তারিখেরও উল্লেখ থাকবে।
৭। পিভিসি-র কার্ডে আধার লোগো এমবস করা থাকবে।
এই সব সুবিধা উল্লেখ করার পাশাপাশি ইউআইডিএআই জানিয়েছে,
অনলাইনে www.uidai.gov.in ওয়েবসাইটে গিয়ে নতুন কার্ডের আবেদন করা যাবে। আধারের সঙ্গে মোবাইল নম্বর যুক্ত করা না থাকলেও এই আবেদন করা যাবে। জমা দিতে হবে ৫০ রুপি। এর মধ্যেই রয়েছে জিএসটি এবং স্পিড পোস্টের খরচ। আবেদন করার পরের পাঁচ দিনের মধ্যে বাড়িতে চলে আসবে কার্ড।
২০২২ সাল থেকে যে ভাবে আবেদন করবেন
১. প্রথমে www.uidai.gov.in ওয়েবসাইটে যেতে হবে।
২. ‘মাই আধার’ ট্যাবে গিয়ে ‘অর্ডার আধার পিভিসি কার্ড’-এ ক্লিক করতে হবে।
৩. এর পরে ১২ সংখ্যার আধার নম্বর অথবা ১৬ সংখ্যার ভার্চুয়াল আইডি অথবা ২৮ সংখ্যার এনরোলমেন্ট আইডি দিতে হবে।
৪. এবার সিকিউরিটি কোড চাইবে। মোবাইল নম্বর রেজিস্টার্ড না থাকলে অন্য একটি ফোন নম্বর দিতে হবে ওটিপির জন্য।
৫। ‘সেন্ড ওটিপি’ ক্লিক করতে হবে। মোবাইল ফোনে আসা ওটিপি ১০ মিনিটের মধ্যে ব্যবহার করতে হবে।
৬. এ বার ‘টার্মস অ্যান্ড কন্ডিশনস’ লেখা বক্সে টিক করে সাবমিট করতে হবে।
৭. আধারে মোবাইল নম্বর যুক্ত থাকলে এর পরে নতুন কার্ডের প্রিভিউ পাওয়া যাবে।
৮. এর পরে ‘মেক পেমেন্ট’ অপশনে ক্লিক করলে পেমেন্ট গেটওয়ে পেজ খুলবে।
ডেবিট, ক্রেডিট কার্ড, নেট ব্যাঙ্কিং ছাড়াও ইউপিআই থেকে টাকা দেওয়া যাবে। দিতে হবে ৫০ টাকা। এর একটি রসিদও মিলবে। সেটা ডাউনলোড করা যেতে পারে। এ ছাড়াও মোবাইল ফোনে একটি ২৮ সংখ্যার সার্ভিস রিকোয়েস্ট নম্বর আসবে। যার মাধ্যমে পরে কার্ডের স্ট্যাটাস জানা যাবে।
সম্প্রতি বাজার থেকে কেনা পিভিসি এবং প্রিন্টেড আধার কার্ডের ব্যাপারে সতর্ক করেছিল ইউআইডিএআই (UIDAI)। সেই নির্দেশিকায় বলা হয়েছিল বাজারে ভুয়ো আধারকার্ড তৈরি করছে প্রতারকরা। তাই বাজার থেকে কেনা আধারকার্ডকে অবৈধ ঘোষণা করা হতে পারে। একমাত্র ইউআইডিএআই থেকে পাওয়া আধার কার্ডকেই বৈধ হিসেবে গণ্য করা হবে। এবার বাড়ি বসেই কীভাবে বৈধ পিভিসি আধারকার্ড পাওয়া সম্ভব সেকথাই জানালো আধারকার্ড প্রদানকারী সংস্থা।
বর্তমান সময়ে ভারতবাসীর জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নথি হয়ে দাঁড়িয়েছে আধারকার্ড। এবার শুধুমাত্র একটি মোবাইল নম্বর ব্যবহার করেই আপনি বাড়ির সবার জন্য অর্ডার করতে পারবেন পিভিসি আধারকার্ড। ইউআইডিএআই জানিয়েছে এখন একটি নাম্বার থেকেই একাধিক আধারকার্ড অর্ডারের ওটিপি পাওয়া যাবে। পুরো প্রক্রিয়াটির জন্য খরচ হবে কার্ডপিছু ৫০ টাকা। যে সমস্ত ব্যক্তির মোবাইল নম্বরের সঙ্গে আধার কার্ড লিংক করা নেই তাঁরা লিংক না করা নম্বর থেকেও অর্ডার করতে পারবেন।