দক্ষিণ কোরিয়ায় বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগ ইপিএস অনলাইন নিবন্ধন-২০২৪

দক্ষিণ কোরিয়ায় বাংলাদেশি কর্মী ইপিএস-এর আওতায় নিয়োগের লক্ষ্যে কোরীয় ভাষা পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য অনলাইন নিবন্ধন-২০২৪

সকলেই ধরতে পারবে, তবে কিছু শর্ত আছে রেজিস্ট্রেশনঃ আগামী ২২ ফ্রেব্রুয়ারি ২০২৪ থেকে ২৩ ফ্রেব্রুয়ারি ২০২৪
আসছে কোরীয়া লটারীতে ভাষা জানা ও ভাষা না জানা উভয়ই আবেদন করতে পারবেন।

  • ভাষা জানা ব্যাক্তিরা প্রাতিষ্ঠানিক সাটিফিকেট দিয়ে সরাসরি পরিক্ষার জন্য রেজিস্ট্রেশন করবেন,
  • ভাষা না জানা ব্যাক্তিরা লটারী ধরবেন।

দক্ষিণ কোরিয়ায় ইপিএস-এর আওতায় বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগের লক্ষ্যে কোরীয় ভাষা পরীক্ষায় (ভাষা পারদর্শী) অংশগ্রহণের জন্য অনলাইন নিবন্ধন-২০২৪ সংক্রান্ত ১ম পর্বের বিজ্ঞপ্তি

অংশগ্রহণের যোগ্যতা:

ইপিএস এর আওতায় দক্ষিণ কোরিয়া গমনের লক্ষ্যে কোরীয় ভাষা পারদর্শীদের শীঘ্রই সার্কুলার আসতেছে
আবেদনের যোগ্যতা:
1. শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসি/সমমানের ডিগ্রী;
2. বয়স সীমা ১৮~৩৯ পর্যন্ত,
3. পাসপোর্ট-এর মেয়াদ থাকতে হবে;
4. যার কালার ব্লাইন্ডনেস ও রঙ বোঝার সক্ষমতার সমস্যা নেই
5. মাদকাসক্ত ব্যক্তিগণ অযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন;
6. যার কোন দিন রাষ্ট্রীয় নির্দেশে কারা অন্তরীণ বা কঠোর শাস্তি হয়নি;
7. যার কোন দিন সরকারি এজেন্সি কর্তৃক দক্ষিণ কোরিয়ার পোর্ট থেকে ফেরত পাঠানো হয়নি, বা কোরিয়া বের হওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়নি;
8. যার উপর বিদেশ যাত্রায় কোন নিষেধাজ্ঞা নেই বা যেতে কোন সমস্যা নেই
9. Dirty Difficult Dangerous (3D) এর কাজের আগ্রহ থাকতে হবে এবং
10. ই-৯ বা ই-১০ ভিসায় কোরিয়ায় ৫ বছর বা ততোধিক কাল কোরিয়ায় বসবাস করে নাই এমন ব্যক্তি।
কোরিয়ায় ইপিএস ভিসার জন্য পরীক্ষার প্রক্রিয়ায় কিছুটা পরিবর্তন এনেছে এবং পক্ষে বিপক্ষে প্রতিক্রিয়াও দেখা যাচ্ছে।

পরিবর্তনটা কি?

পরিবর্তনের আগেঃ লটারীর মাধ্যমে একটা নির্দিষ্ট সংখ্যক মানুষ পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পেত। পরীক্ষায় উত্তীর্ণরা কোরিয়ায় যাওয়ার সুযোগ পেতো।
পরিবর্তনের পরঃ যারা কোরিয়ান ভাষা জানে তারা সরাসরি নিবন্ধনের সুযোগ পাবে। এবং যারা কোরিয়ান ভাষা জানে না তারা লটারীর মাধ্যমে পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পাবে।

পরিবর্তনের উদ্দেশ্য কি?

ইপিএস শুরু হওয়ার পর থেকে বোয়েসেল (BOESL) কিংবা এইচআরডি কোরিয়া দেখেছে হাজার হাজার ছাত্রছাত্রী কোরিয়ান ভাষা শেখার পরও লটারীতে না আসায় পরীক্ষা দিতে পারেনি। ফলে তারা বঞ্চিতই থেকে যাচ্ছে। তাদেরকে একটা সুযোগ করে দেওয়া। এবং লটারীর মাধ্যমে বাকীদেরও একই সুযোগ থাকছে। এইচ আর ডি কোরিয়া বোয়েসেল এবং সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের অভিমত নিয়েই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যারা কোরিয়ান ভাষা জানে তাদের পরীক্ষা খুব দ্রুত হবে এবং যারা জানে না (লটারী মাধ্যমে নিবন্ধিত হবে) তাদেরকে ভাষা শেখার সময় দেওয়া হবে।

বিতর্ক কি নিয়ে?

আসল বিতর্ক শুরু হয়েছে কোরিয়ান ভাষার সনদ নিয়ে। ১২০ ঘন্টা ভাষা শেখার সনদ লাগবে সরাসরি রেজিস্ট্রেশন করতে। এই ক্ষেত্রে কোচিং সেন্টারগুলো সার্টিফিকেট বাণিজ্য করবে।

 মন্তব্যঃ

বিতর্ক থাকলেও এইটা সবচেয়ে ভালো উপায়। এর কারণ বোয়েসেল ইতিমধ্যে কোচিং সেন্টারগুলোর তালিকা নিয়েছে। তারা যাদেরকে সার্টিফিকেট দিবে সেগুলো যাচাই-বাছাই করবে। এবং যদি কোন কোচিং সেন্টার সার্টিফিকেট বিক্রি করছে এমন প্রমাণ থাকে তাদেরকে বাতিল করবে এবং ঐসব ছাত্রছাত্রী আর পরীক্ষাও দিতে পারবে না। আর পরীক্ষার পরে যদি দেখা যায় কোন নির্দিষ্ট কোচিং সেন্টারের স্টুডেন্টরা সার্টিফিকেট নিয়ে নিবন্ধন করেছে কিন্তু পরীক্ষা বেশিরভাগ স্টুডেন্ট ফেইল করেছে সেক্ষেত্রেও বোয়েসেল তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে।
কোন প্রক্রিয়াই শতভাগ শুদ্ধ বলা কঠিন। কিন্তু এইবারের প্রক্রিয়া একটা টেস্ট বলা যায়। এইটা ভালভাবে করতে পারলে আগের যেকোন পদ্ধতির চেয়ে ভাল হবে।