চলমান বিদ্যুৎ সংকট নিরসনে শিগগিরই এলাকাভিত্তিক লোডশেডিংয়ের সময়সূচি ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সারাদেশে এলাকাভিত্তিক লোডশেডিং: জানালেন জ্বালানি উপদেষ্টা
চলমান এলাকাভিত্তিক লোডশেডিংয়ে যাচ্ছে দেশ। তবে কোন এলাকায় কখন লোডশেডিং হবে তা আগেই জানিয়ে দেওয়া হবে। এ সময় ওই এলাকায় এক থেকে দুই ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে।
বাংলাদেশের ৬৪ জেলা বিদ্যুৎ লোডশেডিং আপডেট সময়সূচী ২০২২ জেনে নিন।
DPDC বিদ্যুৎ লোডশেডিং এর নতুন সময়সূচী ২০২২ প্রকাশ করেছে। বিস্তারিত দেখুন এখানে
ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ এলাকাভিত্তিক লোডশেডিং এর সময়সূচী জানতে ক্লিক করুণ এখানে
আজকের উৎপাদন ক্ষমতা (মেগাওয়াট) দিনের সর্বোচ্চ ১৩২৪৩, সন্ধ্যায় সর্বোচ্চ : ১৪৪১০ | আজকের চাহিদার পূর্বাভাস (মেগাওয়াট) দিনের সর্বোচ্চ ১১৬০০ ,সন্ধ্যায় সর্বোচ্চ : ১৩৭০০ | গতকালের প্রকৃত উৎপাদন (মেগাওয়াট) দিনের সর্বোচ্চ ১০২৬৩ ,সন্ধ্যায় সর্বোচ্চ : ১৩২৪৩
তারিখঃ ২১-০৭-২০২২
| বিবরণ | দিনের সর্বোচ্চ | সন্ধ্যায় সর্বোচ্চ |
|---|---|---|
| আজকের চাহিদার পূর্বাভাস (মেগাওয়াট) | ১২২০০ | ১৪৪০০ |
| গতকালের প্রকৃত উৎপাদন (মেগাওয়াট) | ১২১০৪ | ১৩৭৬৫ |
“বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় লোডশেডিংই একমাত্র সমাধান।”
আজ সোমবার ১৮ জুলাই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ ও জ্বালানিবিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী।
সারাদেশে এলাকাভিত্তিক লোডশেডিং আওতায় যাহা থাকবে
** বিদ্যুৎ সমস্যা সমাধানের জন্য প্রতিটি মসজিদের (নামাজের সময় বাদ দিয়ে) এসি বন্ধ।
** দোকানপাট ও মার্কেট রাত ৮টার পর বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। সরকারি-বেসরকারি অফিসের সভাগুলো অনলাইনে পরিচালনার সিদ্ধান্ত।
**গাড়িতে তেলের ব্যবহার কমাতে হবে।
**ডিজেলভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো বন্ধ রাখা হবে।
**পেট্রোল পাম্পগুলো সপ্তাহে একদিন বন্ধ রাখা হবে এবং
**বিদ্যুতের ব্যবহার কমাতে হবে।
**সরকারি-বেসরকারি অফিসের সময় এক থেকে দুই ঘণ্টা কমিয়ে আনার চিন্তাও করা হচ্ছে।
এলাকাভিত্তিক লোডশেডিং এর সময়সূচী জানতে ক্লিক করুণ এখানে
জোন ভিত্তিক লোডশেডিং এর সময়সূচী
আগামীকাল থেকে লোড শেডিং শুরু, তবে কোন এলাকায় কখন লোডশেডিং হবে তা আগেই মানুষকে জানিয়ে দেওয়া হবে। এ সময় ওই এলাকায় এক থেকে দুই ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে। আপনার এলাকায় কখন বিদ্যুৎ থাকবেনা তা আপনারা জানতে পাবেন আমাদের এই সাইট থেকে। এছডা ও সরকারি ওয়েবসাইট থেকে ও আপনাদেরকে জানিয়ে দেওয়া হবে। এছাডা ও পত্রিকা বা অনালাইন পোটাল এর মাধ্যমে জানানো হবে এই লোডশেডিং এর সময়সূচী।
এলাকাভিত্তিক লোডশেডিং এর সময়সূচী জানতে ক্লিক করুণ এখানে
- বিতরণ অঞ্চল বিউবো কুমিল্লা জোন লোডশেডিং
- বিতরণ অঞ্চল বিউবো ঢাকা জোন লোডশেডিং
- বিতরণ অঞ্চল বিউবো ময়মনসিংহ জোন লোডশেডিং
- বিতরণ অঞ্চল বিউবো চট্টগ্রাম জোন লোডশেডিং
- বিতরণ অঞ্চল বিউবো সিলেট জোন লোডশেডিং
লোডশেডিং এর সময়সূচীঃ DPDC ২১ জুলাই ২০২২
ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ডিপিডিসি) লোডশেডিং এর জন্য ইতিমধ্যে দুঃখ প্রকাশ। নতুন শিডিউল দেখতে ক্লিক করুণ।
| সম্ভাব্য লোডশেডিং শিডিউল |
| ইমার্জেন্সি মেইনটেন্যান্স শিডিউল |
https://www.dpdc.org.bd/index.php/customer-service/loadshedding-schedule
লোডশেডিং এর সময়সূচীঃ সিলেট জেলা
নরসিংদী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ লোড শেডিং সিডিউল
নরসিংদী রায়পুরা লোড শেডিং সিডিউল
নরসিংদী শিবপুর লোড শেডিং সিডিউল
হবিগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি।আজমিরীগঞ্জ সাব-জোনাল অফিসের লোড-শেডিং শিডিউল
রাত ০১ঃ০০টা থেকে ০২ঃ০০ টা পর্যন্ত বদলপুর ইউনিয়ন( সম্পূর্ণ)।
রাত০২ঃ০০টা থেকে০৩ঃ০০টা আজমিরীগঞ্জ পৌরসভা ( সম্পূর্ণ) কিন্তু বিরাট গ্রাম চালু থাকবে।
রাত০৩ঃ০০টা থেকে ০৪ঃ০০টা জলসুখা ইউনিয়ন (সম্পূর্ণ) এবং বিরাট গ্রাম (সম্পূর্ণ)।
ভোর ০৪ঃ০০টা থেকে ০৫ঃ০০টা কাকাইলছেও ইউনিয়ন (সম্পূর্ণ)।
সকাল ০৫ঃ০০টা থেকে ০৬ঃ০০টা শিবপাশা ইউনিয়ন (সম্পূর্ণ) ফতেহপুর গ্রাম (আংশিক)।
সকাল ০৬ঃ০০টা থেকে ০৭ঃ০০টা বদলপুর ইউনিয়ন (সম্পূর্ণ)।
সকাল০৭ঃ০০টা থেকে০৮ঃ০০টা আজমিরীগঞ্জ পৌরসভা ( সম্পন্ন) কিন্তু বিরাট গ্রাম চালু থাকবে।
সকাল ০৮ঃ০০টা থেকে ০৯ঃ০০টা জলসুখা ইউনিয়ন (সম্পূর্ণ) এবং বিরাট গ্রাম (সম্পূর্ণ)।
সকাল০৯ঃ০০ টা থেকে ১০ঃ০০টা কাকাইলছেও ইউনিয়ন (সম্পূর্ণ)।
সকাল১০ঃ০০টা থেকে ১১ঃ০০টা শিবপাশা ইউনিয়ন (সম্পূর্ণ) এবং ফতেহপুর গ্রাম (আংশিক)।
সকাল ১১ঃ০০টা থেকে ১২ঃ০০টা বদলপুর ইউনিয়ন সম্পূর্ণ।
দুপুর ১২ঃ০০টা থেকে ১৩ঃ০০টা আজমিরীগঞ্জ পৌরসভা সম্পন্ন কিন্তু বিরাট গ্রাম চালু থাকবে।
দুপুর ১৩ঃ০০টা থেকে ১৪ঃ০০টা জলসূখা ইউনিয়ন (সম্পূর্ণ) এবং বিরাট গ্রাম সম্পন্ন।
বিকাল ১৪ঃ০০টা থেকে ১৫ঃ০০টা কাকাইলছেও ইউনিয়ন সম্পূর্ণ।
বিকাল ১৫ঃ০০টা থেকে ১৬ঃ০০টা শিবপাশা ইউনিয়ন সম্পূর্ণ এবং ফতেহপুর গ্রাম আংশিক।
বিকাল ১৬ঃ০০টা থেকে ১৭ঃ০০টা বদলপুর ইউনিয়ন সম্পূর্ণ।
বিকাল ১৭ঃ০০টা থেকে ১৮ঃ০০টা যে কোন ফিডার।
সন্ধা ১৮ঃ০০ টা থেকে ১৯ঃ০০টা জলসূখা ইউনিয়ন সম্পূর্ণ এবং বিরাট গ্রাম সম্পূর্ণ।
সন্ধা ১৯ঃ০০টা থেকে ২০ঃ০০টা কাকাইলছেও ইউনিয়ন সম্পূর্ণ।
রাত ২০ঃ০০টা থেকে ২১ঃ০০টা শিবপাশা ইউনিয়ন সম্পূর্ণ এবং ফতেহপুর গ্রাম আংশিক।
রাত ২১ঃ০০টা থেকে ২২ঃ০০টা বদলপুর ইউনিয়ন সম্পূর্ণ।
রাত ২২ঃ০০টা থেকে ২৩ঃ০০টা জলসুখা ইউনিয়ন সম্পূর্ণ এবং বিরাট গ্রাম সম্পন্ন।
রাত ২৩ঃ০০টা থেকে ২৪ঃ০০টা শিবপাশা ইউনিয়ন সম্পূর্ণ এবং ফতেহপুর গ্রাম আংশিক।
বিঃদ্রঃ [ ঝড় বৃষ্টি এবং আবহাওয়ার কারণে যে কোন সময় লাইন বন্ধ থাকতে পারে]
কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ১ অফিসের লোড-শেডিং শিডিউল
কুষ্টিয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি মিরপুর অফিসের লোড-শেডিং শিডিউল
এলাকাভিত্তিক লোডশেডিং কারন কি?
আমরা সবাই জানি রাশিয়া ইউক্রেন এর যুদ্ধের কারনে “আমেরিকা রাশিয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে, ইউরোপও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এর ফলস্বরূপ তেলের দাম বাড়ছে, সারের দাম বাড়ছে, খাদ্যের দাম বাড়ছে, জাহাজের ভাড়া বাড়ছে। সারা বিশ্বে এর প্রভাব পড়ছে। বাংলাদেশও এর দ্বারা প্রভাবিত হচ্ছে,”
প্রধানমন্ত্রী বলেন- “প্রতিটি এলাকাভিত্তিক, কোন এলাকায় কখন কত ঘণ্টা লোডশেডিং থাকবে, লোডশেডিং এমনভাবে করা হয়েছে যাতে মানুষ সে সময় প্রস্তুত থাকে, যাতে আমরা মানুষের দুর্ভোগ কমাতে পারি। ” সে বিষয়ে আমাদের নজর দিতে হবে।
এলাকাভিত্তিক লোডশেডিং এর সময়সূচী জানতে ক্লিক করুণ এখানে
চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং করোনাভাইরাস মহামারীর প্রভাব মোকাবিলায় বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। দেশকে সব বাধা মোকাবেলা করে এগিয়ে যেতে হবে। দেশের অন্যান্য অঞ্চলের পাশাপাশি রাজধানী ঢাকায় এখন ঘন ঘন লোডশেডিং হচ্ছে। প্রতিদিন গড়ে দুই হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন কমেছে। বিশ্বব্যাপী তেলের ক্রমবর্ধমান দাম বেশিরভাগ গ্যাস-চালিত বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ করতে বাধ্য করেছে। অন্যদিকে বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোও বন্ধের পথে।
রাজধানীর বাইরের অবস্থা আরও খারাপ। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত জেলাগুলো ময়মনসিংহ বিভাগে অবস্থিত। অন্যদিকে চট্টগ্রাম, সিলেট, রংপুর, ঠাকুরগাঁও, রাজশাহী, গাইবান্ধা, লালমনিরহাট এবং দিনাজপুর, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, সুনামগঞ্জ, নোয়াখালী, ফেনী ও চাঁদপুরে লোডশেডিং উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পর গ্যাস সংকটে ভুগছে এমন দেশগুলোতে বিদ্যুৎ বিভ্রাট অস্বাভাবিক কিছু নয়। এদিকে, টেক্সাসে একটি তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস সুবিধা সাময়িকভাবে বন্ধ হওয়ার পর থেকে ইউরোপ এবং এশিয়ায় গ্যাসের দাম সপ্তাহে 60 শতাংশের বেশি বেড়েছে। গত বছরের শুরু থেকে ইউরোপে গ্যাসের দাম ৭০০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে।