[সাজেশন] ১ম ধাপে প্রাইমারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা ২০২৩

প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা ২০২৩ চূড়ান্ত সাজেশন। আপনারা যাহারা প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ ১ম ধাপের পরীক্ষা অংশ গ্রহণ করেছেন, আপনারা জানেন আগামী ১লা ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখে অনুষ্ঠিত হতে জাচ্ছে ১ম ধাপের পরীক্ষা। তার আগে এখান থেকে দেখে নিন চূড়ান্ত ১০০% সঠিক সাজেশন।

প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা প্রশ্ন সমাধান

প্রাইমারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা ২০২৩ এর সাজেশনঃ-

বিষয় অনুযায়ী গুরুত্বপূর্ণ ট্রপিকস গুলো সাজিয়ে দেওয়া হলো:- সিলেবাস এবং মানবন্ট সম্পর্কে এখানে সম্পূর্ণভাবে আলোচনা করা হয়েছে। উল্লেখ্য যে, রংপুর, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের শিক্ষাক নিয়োগ পরীক্ষা (প্রথম) পর্যায়ের ২০২৩, ২৮ ফেব্রুয়ারি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে, ১ম পর্যায়ে প্রবেশ পত্র সাথে সাথে বিতরণ করা হয়েছে।

প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগ প্রশ্ন সমাধান

এই বিজ্ঞপ্তির জন্য আবেদনের সময়কাল ২৪ মার্চ ২০২৩ তারিখে শেষ হয়েছে। পরবর্তীতে পর্যায়, ময়মনসিংহ, খুলনা এবং রাজশাহী বিভাগের প্রাথমিক সহকারী শিক্ষাক নিয়োগ পরীক্ষা ২য় পর্যায়ের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। এবং ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের তৃতীয় পর্যায়ের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। তালিকাভুক্তি পরীক্ষার (রচিত) তারিখ এই সময়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (https://www.dpe.gov.bd) দ্বারা ১ম পর্যায়ের পরীক্ষার তারিখ ১লা ডিসেম্বর নির্ধারন করা হয়েছে ) তবে বাকি দুই পর্যায়ের পরীক্ষার তারিখ শিগগিরই জানানো হবে বলে জানা গেছে।

প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার বিষয় এবং নম্বর বন্টনঃ

MCQ পরীক্ষার বিষয় হল বাংলা-২০, ইংরেজি-২০, গণিত ২০, সাধারণ জ্ঞান (বাংলাদেশ বিষয়াবলী , আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী, বিজ্ঞান এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি) ২০ নাম্বার । প্রতিটি প্রশ্নের মান প্রতিটি ভূল উওরের জন্য ০.২৫ নাম্বার কাটা হবে।

বিষয়বস্তুঃ

বাংলা (২০) বাংলা সাহিত্য (৪),
বাংলা ব্যাকরন (১৭) ইংরেজি (২০) ইংরেজি ব্যাকরন (১৮/১৯)
সাহিত্য (১/২) গনিত (২০) নম্বর পাটিগণিত (৮/৯),
বীজগণিত (৫/৬),জ্যামিতি (৫) সাধারণ জ্ঞান (২০) বিজ্ঞান(৩/৪) বাংলাদেশ বিষয়াবলী  (৭/৮),আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী (৫/৬),চলমান বিষয় (৫/৬) মৌখিক পরীক্ষা ২০ মোট নাম্বার ১০০ প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার সিলেবাস , সময় এবং কাটা মার্ক।

প্রথমে MCQ (প্রিলমেনিয়ারি টেস্ট) মোট 80 নাম্বারের একটি পরীক্ষা হবে। যারা MCQ এর মাধ্যমে পাস করবে তাদের 20 মার্কের মৌখিক মূল্যায়ন পরীক্ষা করা হবে। MCQ পরীক্ষার বিষয়গুলি হল বাংলা-২০মার্ক, ইংরেজি-২০মার্ক, গণিত ২০মার্ক। সাধারণ জ্ঞান (বাংলাদেশ বিষয়াবলী , আন্তর্জাতিক সম্পর্ক , বিজ্ঞান এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি) – ২০ মার্ক।

১. প্রতিটি প্রশ্নের নাম্বার ১.

২. প্রতিটি ভূল উওরের জন্য 0.২৫ নাম্বার কাটা হবে। পরীক্ষার জন্য নির্ধারিত সময় হল ৬০ মিনিট/১ঘন্টা।

প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার সাজেশন ২০২৩ (বিষয় ভিত্তিক গুরুত্বপূর্ণ ট্রপিকস)

১. বাংলাঃ

বাংলা বিষয়ের দুটি অংশ থাকবে—একটি বাংলা সাহিত্য অপরটি বাংলা ব্যাকরণ। বাংলা সাহিত্য থেকে সাধারণত চার থেকে পাঁচটি প্রশ্ন আসে। বাংলা সাহিত্য অংশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ট্রপিকস হলো—প্রাচীন যুগের মধ্য থেকে চর্যাপদ, মধ্যযুগ,কাজী নজরুল ইসলাম, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর,শামসুর রাহমান,জসীমউদ্দীন, মাইকেল মধুসূদন দত্ত, বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, বিভিন্ন সাহিত্যিকের উক্তি এবং কবিতার লাইন, কবি ও লেখকের জন্ম ও মৃত্যু তারিখ এবং বিখ্যাত পুরস্কার সমূহ এবং প্রাপ্তির সাল, মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক বিভিন্ন বিখ্যাত গ্রন্থ, বিখ্যাত পত্রিকা ও সাময়িকীর সম্পাদকের নাম ও প্রতিষ্ঠা সাল ইত্যাদি।

বাংলা ব্যাকরণ অংশ থেকে তুলনামূলক বেশি প্রশ্ন এসে থাকে। তাই ব্যাকরণ অংশে বেশী জোর দিতে হবে। ব্যাকরন অংশে গুরুত্বপূর্ণ ট্রপিকস—ব্যাকরণ,শব্দ, বর্ণ ও ধ্বনি, সন্ধি,সমাস, প্রকৃতি ও প্রত্যয়,কারক ও বিভক্তি, বাক্য ও বানান শুদ্ধি, দ্বিরুক্ত শব্দ, উপসর্গ, অনুসর্গ, পদ প্রকরণ, বাক্য প্রকরণ, সমার্থক শব্দ,এককথায় প্রকাশ, বিপরীত শব্দ, কাল, যতিচিহ্ন,বাগধারা, প্রবাদ প্রবচন ইত্যাদি।

২. ইংরেজিঃ

ইংরেজির দুটি অংশ—ইংরেজি ব্যাকরন ও ইংরেজি সাহিত্য । বিগত বছরের পরীক্ষার প্রশ্ন বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, সাহিত্য অংশ থেকে মাত্র দু-তিনটির মতো প্রশ্ন এসেছে। আবার কোনো কোনো পরীক্ষায় একটি প্রশ্নও আসেনি। তবু ভালো প্রস্তুতির জন্য এগুলোও পড়তে হবে; বিশেষ করে বিগত সালে আসা প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ,সহকারী শিক্ষাক নিয়োগ, এটিও, বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা, বিসিএস, নন-ক্যাডারসহ বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষায় আসা প্রশ্নগুলো সাহিত্য অংশ ভালো করে পড়লে ভালো হয়।
ইংরেজি ব্যাকরন অংশে বেশি জোড় দিয়ে প্রস্তুতিতে বাড়তি গুরুত্ব দিতে হবে।

ইংরেজি ব্যাকরেন গুরুত্বপূর্ণ ট্রপিকসঃ

Parts of speech, parts of speech শনাক্তকরন, parts of speech পরিবর্তন, idioms & phrase, tense,preposition, degree, voice & narration, number & gender, gerund & participles, Right form of verb, subject -verb argument, conditional sentence,spelling, antonyms & synonyms, analogy,translation ইত্যাদি।

৩. গণিতঃ

গণিতে কিছু নির্দিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ট্রপিকস থেকে প্রতিবছরই প্রশ্ন আসে। গণিতের তিনটি অংশ থেকে প্রশ্ন আসে।পাটিগণিত, বীজগণিত ও জ্যামিতি(জ্যামিতি, পরিমিতি ও ত্রিকোনমিতি)।

পাটিগণিত থেকেই ১০-১২টি প্রশ্ন আসে।পাটিগণিত অংশ সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। গণিতের প্রস্তুতির জন্য পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণির গণিত বইয়ের পাটিগণিত করবেন। পাটিগণিতের যেসব ট্রপিকস থেকে প্রশ্ন আসে তা হলো —সংখ্যার ধারণা, ভগ্নাংশ, লসাগু ও গসাগু, গড়, ঐকিক নিয়ম, সুদ-আসল,শতকরা, লাভ-ক্ষতি, অনুপাত, সমানুপাত ও মিশ্রণ, মৌলিক ও বাস্তব সংখ্যা, বয়স, পরিমাপ, সময় ও দূরত্ব, নৌকা ও স্রোতের বেগ, ধারা (সিরিজি) ইত্যাদি।

বীজগণিত থেকে সাধারণত (৩-৪)টি প্রশ্ন আসে। বীজগণিতের প্রস্তুতির জন্য যেসব ট্রপিকস বেশি গুরুত্ব দিতে হবে তা হলো—বীজগাণিতিক রাশি(যোগ,বিয়োগ, গুন এবং ভাগ,সরল),মান নির্ণয়, উৎপাদকে বিশ্লেষণ, এক চলক ও দ্বিচলকবিশিষ্ট সমীকরণ, সূচক, লগারিদম, সেট ইত্যাদি।

গণিতের শেষ অংশ হলো জ্যামিতি। জ্যামিতি থেকে তিন-চারটি প্রশ্ন আসে। যেসব ট্রপিকস থেকে প্রশ্ন আসে তা হলো—বাহু ও কোণের পরিমাপ, ত্রিভুজ, চতুর্ভুজ ও বহুভুজ, বৃত্ত ও পরিমিতি। মাঝে মধ্যে ত্রিকোনমিতি থেকে ১টি প্রশ্ন আসে। গণিতে নিয়মিত অনুশীলনই সফলতা আনতে পারে।

৪. সাধারণ জ্ঞানঃ

সাধারণ জ্ঞানের মধ্যে সাধারণত তিনটি বিষয়ের প্রশ্ন আসে—বাংলাদেশ বিষয়াবলি, আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি ও সাধারণ বিজ্ঞান, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি।

৫. বাংলাদেশ বিষয়াবলিঃ

বাংলাদেশ বিষয়াবলির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ট্রপিকস হলো—বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থান, আয়তন ও সীমানা,জনসংখ্যা ও উপজাতি,বাংলাদেশের ঐহিত্য,বাংলাদেশের ইতিহাস, প্রাচীন আমল ও ইংরেজ শাসন, ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা, সংবিধান ও প্রশাসনিক কাঠামো, পাহাড়-পর্বত, দ্বীপ, উপত্যকা, হ্রদ ও জলপ্রপাত, স্থাপনা, পুরাকীর্তি, নিদর্শন ও সংস্কৃতি, কৃষি, শিল্প, খনিজ ও বনজ সম্পদ, শিল্প-বাণিজ্য, অর্থনীতি ও সমীক্ষা, বাংলাদেশের অর্জন, খেলাধুলা ও শিল্প-সংস্কৃতি অঙ্গন ইত্যাদি।

৬. আন্তর্জাতিক বিষয়াবলিঃ

আন্তর্জাতিক বিষয়াবলির জন্য গুরুত্বপূর্ণ ট্রপিকস হলো—মহাদেশ পরিচিতি,পৃথিবী পরিক্রমা, অঞ্চল পরিচিতি, ভৌগোলিক উপনাম, নতুন ও পুরনো নাম, সীমারেখা, প্রণালি, দ্বীপ, সাগর-মহাসাগর, শিল্প-বাণিজ্য ও অর্থনীতি, বিশ্বসভ্যতার ইতিহাস, যুদ্ধবিগ্রহ ও বিপ্লব, চুক্তি, আন্তর্জাতিক সংগঠন ও সংস্থা,সনদ ও সম্মেলন, খেলাধুলা, নোবেল পুরষ্কার ইত্যাদি।

৭. বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তি বিষয়াবলিঃ

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়াবলির জন্য গুরুত্বপূর্ণ ট্রপিকস হলো—পদার্থবিজ্ঞান ( পদার্থের অবস্থার পরিবর্তন,বিভিন্ন পদার্থের স্বরূপ,বিভিন্ন পরিমাপক যন্ত্র, বিভিন্ন রাশির একক, আলোর প্রকৃতি, বিভিন্ন রশ্মির ব্যবহার ও প্রভাব,শব্দের সীমা, বিভিন্ন শক্তির রূপান্তর, পারমাণবিক শক্তি ও নবায়নযোগ্য শক্তি)।

রসায়ন বিজ্ঞান (মৌলিক ও যৌগিক পদার্থ, অনু ও পরমাণু, নিষ্ক্রিয় গ্যাস, পারমাণবিক সংখ্যা,পারমাণবিক সংকেত, যোজনী, জৈব এসিড, দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহৃত পদার্থের সংকেত ও নাম)।

উদ্ভিদবিজ্ঞান (বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক নাম, বিভিন্ন ফসলের জাত, বিভিন্ন মৌসুমের শস্য, উদ্ভিদের প্রয়োজনীয় উপাদান ও উপাদানের প্রভাবজনিত রোগ)।

প্রাণিবিজ্ঞান (বিভিন্ন শাখার জনক, রোগ-জীবাণুর আবিষ্কারক, প্রাণিজগতের বৈচিত্র্য), মানবদেহ, সংক্রামক রোগ ও চিকিৎসা, খাদ্য ও পুষ্টি।

ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান (পরিবেশদূষণের জন্য দায়ী উপাদান, সৌরজগৎ, গ্রহ-উপগ্রহ, জোয়ার ভাটা, স্থানীয় সময়ের পার্থক্য, ভূপৃষ্ঠের বিভিন্ন পদার্থের উপাদানের পরিমাণ)।

কম্পিউটার ও তথ্য-প্রযুক্তি (কম্পিউটারের ইতিহাস, কম্পিউটারের প্রকারভেদ, কম্পিউটারের ভাষা, বিভিন্ন প্রজন্মের কম্পিউটারের বৈশিষ্ট্য, কি-বোর্ড সম্পর্কে ধারণা,এমএস ওয়ার্ড, এমএস এক্সেল সম্পর্কে ধারণা, সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যার সম্পর্কে ধারণা, ই-মেইল, ইন্টারনেট ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, বিভিন্ন আবিষ্কার ও আবিষ্কারক।