গ্রিস ১৫ হাজার বাংলাদেশি কর্মী নেয়ার সিদ্ধান্ত। আবেদন প্রক্রিয়া জেনে নিন

১৫ হাজার বাংলাদেশি কর্মী নেয়ার সিদ্ধান্ত গ্রিসের পার্লামেন্টে পাস হয়েছে।
বাংলাদেশের সাথে সমঝোতা স্মারক অনুসমর্থন করে, আমরা নিয়ম নির্ধারণ করছি, একটি বিপণনযোগ্য দক্ষতা মানচিত্র তৈরি করছি এবং ধীরে ধীরে অবৈধ অভিবাসনের কারণগুলি দূর করছি বলে জানিয়েছেন দেশটির অভিবাসন ও শরণার্থী বিষয়ক মন্ত্রী নোতিস মিতারাচি ৷

আবেদন প্রক্রিয়া কিছু তথ্য জেনে নিন

শিগগিরই হয়তো বাংলাদেশ থেকে এই ১৫ হাজার শ্রমিক নেয়ার প্রক্রিয়া শুরু হবে৷ তবে এ বিষয়ে কিছু তথ্য মাথায় রাখতে হবে৷
* প্রতি বছর কৃষিখাতে প্রায় চার হাজার মৌসুমি কর্মভিসা দেয়া হবে৷ সব মিলিয়ে আগামি পাঁচ বছরে ভিসা দেয়া হবে ১৫ হাজার৷
* আবেদনের সময় ভ্রমণের বৈধ কাগজপত্র, কাজের বৈধ অনুমতিপত্র, স্বাস্থ্যবিমার কাগজ জমা দিতে হবে৷ সেই সঙ্গে নির্ধারিত ফি ও ব্যয় বহন করতে হবে৷
* কৃষিখাতে ভিসা পাওয়া প্রত্যেক ব্যক্তিকে নয় মাস পরে বাংলাদেশে ফেরত যেতে হবে। এটি বাস্তবায়নের দায়িত্ব বাংলাদেশ সরকারের৷
* একজন ব্যক্তি এভাবে বছরে নয় মাস করে সর্বোচ্চ পাঁচ বছর গ্রিসে বৈধ অভিবাসী হিসেবে কাজ করতে আসতে পারবেন।
* সর্বোচ্চ পাঁচ বছর কোনো ব্যক্তি এই ভিসা নিয়ে গ্রিসে কাজ করলেও পরবর্তীতে তিনি গ্রিসে নাগরিকত্ব বা স্থায়ী বসবাসের জন্য আবেদন করার সুযোগ পাবেন না৷
* এই প্রক্রিয়াটি সম্পূর্ণ জিটুজি, অর্থাৎ বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে গ্রিস সরকারের চুক্তি৷ আবেদনের পর ভিসা পেলে নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানই যাতায়াতসহ অন্য খরচ বহন করবে৷ ফলে দালালদের কথা শুনে বিভ্রান্তিতে পড়া উচিত হবে না৷ এই প্রক্রিয়ার মধ্যে দালালরা আপনাকে কোনোপ্রকার সহায়তা করতে পারবে না৷
গ্রিস জব আবেদন করতে ক্লিক করুণ

আবেদন প্রক্রিয়া জেনে নিন

গ্রিসে বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগের বিষয়ে গত কয়েক মাস ধরে আলোচনা চলছিল দুই দেশের সরকারের মধ্যে৷ এর অংশ হিসেবে চলতি বছরের  ৯ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় সমঝোতা স্মারক চুক্তিতে স্বাক্ষর করে ঢাকা ও এথেন্সের সংশ্লিষ্ট দুই মন্ত্রণালয়ও৷ সেই সমঝোতা অনুযায়ী বাংলাদেশ থেকে পাঁচ বছরে ১৫ হাজার মৌসুমি কর্মী নিতে সম্মত হয় গ্রিস সরকার৷ তবে এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন নির্ভর করছিল দেশটির পার্লামেন্টের অনুমোদনের ওপর৷ অবশেষে বুধবার প্রস্তাবটি সর্বসম্মতিতে পাস হয়েছে সে দেশের পার্লামেন্ট৷ দেশটির অভিবাসন ও শরণার্থী বিষয়ক মন্ত্রী নোতিস মিতারাচি টুইটে এই খবর নিশ্চিত করেছেন৷

গ্রিস জব আবেদন করতে যা যা লাগবে তা জানতে ক্লিক করুণ

১৫ হাজার বাংলাদেশি কর্মী নেয়ার সিদ্ধান্ত গ্রিসের পার্লামেন্টে পাস

মৌসুমি কাজের ভিসায় প্রতি বছর ৩ হাজার করে পাঁচ বছরের জন্য মোট ১৫ হাজার বাংলাদেশি কর্মী নেবে গ্রিস৷ দুই দেশের মধ্যে হওয়া এই সংক্রান্ত একটি সমঝোতা চুক্তির অনুমোদন দিয়েছে গ্রিসের পার্লামেন্ট৷

গ্রিসে কৃষি খাতে চাকরির সুযোগ

গত ৯ ফেব্রুয়ারির সমঝোতা চুক্তি অনুযায়ী, গ্রীক সরকার প্রতি বছর বাংলাদেশিদের কৃষি খাতে ৩ হাজার মৌসুমি কাজের ভিসা দেবে। দেশটি আগামী পাঁচ বছরে মোট ১৫ হাজার বাংলাদেশিকে এই ভিসা দেবে চুক্তি অনুযায়ী, মৌসুমী ভিসাধারী বাংলাদেশিরা নির্দিষ্ট চাকরি নিয়ে গ্রিসে যাবেন এবং গ্রিসে ৯ মাস বসবাস ও কাজ করার সুযোগ পাবেন। এই ভাবে ৫ বছর কাজের সুযোগ পাবেন।

কৃষি ভিসা দেওয়া প্রত্যেক ব্যক্তিকে অবশ্যই নয় মাস পর বাংলাদেশে ফিরে আসতে হবে, যা জি ২ জি মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকার নিশ্চিত করতে হবে। একজন ব্যক্তি গ্রিসে বৈধ অভিবাসী হিসেবে বছরে নয় মাস এবং সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের জন্য কাজ করতে পারবেন। এই ভিসা দিয়ে সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের জন্য। এই ভিসা দিয়ে নাগরিকত্ব বা স্থায়ী বসবাসের জন্য আবেদন করতে পারবেন না।

গ্রিসে কৃষি খাতে চাকরির সুযোগ সমঝোতা চুক্তির

বন্দোবস্ত চুক্তির পর গ্রিসের অভিবাসন ও শরণার্থী মন্ত্রণালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, “অবৈধ অভিবাসন এবং অবৈধভাবে বসবাসকারীদের জোরপূর্বক প্রত্যাবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দুই দেশ একসঙ্গে কাজ করবে।” “পাচারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে গ্রিসের অবস্থান স্পষ্ট।”

বাংলাদেশের প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমেদও এ বিষয়ে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, নিয়োগ প্রক্রিয়া চূড়ান্ত হওয়ার পর বাংলাদেশ থেকে শ্রমিকরা নিয়োগকর্তাদের পুরো খরচে গ্রিসে যেতে পারবে। কোনো আগ্রহী ব্যক্তি যাতে কোনো দালাল বা প্রতারকের খপ্পরে না পড়ে সে ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।