নতুন নিয়মে ৫ যায়গায় পাওয়া যাবে ঈদে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট

যারা ঈদের ছুটিতে বাড়ি যাবেন তাদের জন্য আজ ০৩ জুলাই ২০২২ তারিখ সকাল ৮টা থেকে অনলাইনে টিকেট পাওয়া যাবে। টিকেট কাটতে এখানে ক্লিক করুণ

যেহেতু এই টিকেটের জন্য সবাই উদগ্রীব হয়ে আছেন, তাই আপনি সহজেই এই টিকেট কিভাবে কাটবেন তা এখান থেকে জেনে নিন। এখান থেকেও আপনারা ট্রেনের টিকেট অনলাইনে কেটে নিতে পারবেন তার জন্য নিচে দেওয়া লিংকে ক্লিক করুন। অনলাইন প্লাটফর্ম সহজ থেকে আপনি আপনার কাংখিত টিকিট কেটে ফেলুন সকাল ৮টার ভিতরে আপনাকে এই সাইটে ঢুকে ট্রেনের টিকেট কাটতে হবে.

তাই দেরি না করে ভিজিট করুন আমাদের সাইটটি এবং দেখে নিন কিভাবে ট্রেনের টিকেট কাটবেন

০৩ জুলাই তারিখে পাওয়া যাবে ৮ জুলাই এর টিকেট

বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ এবছর অগ্রিম টিকেট এর ব্যবস্থা করেছে এই টিকেট আপনি সরাসরি কোন ষ্টেশাসন থেকে কাটতে পারবেন অথবা অনলাইনে কিভাবে কাটতে পারবেন তা নিয়েই আলোচনা। আপনি ঈদের জন্য ঈদের ছুটিতে বাড়ি যাওয়ার জন্য অগ্রিম টিকেট ৫ দিন আগে থেকেই দেওয়া শুরু হয়েছে। ০১ জুলাই তারিখ থেকে শুরু করে ০৭ তারিখ পর্যন্ত আপনারা এই টিকিট কাটতে পারবেন আবার আপনারা ঈদের পরে ফিরতি টিকেট পহেলা মে থেকে ৫ মে তারিখে কাটতে পারবেন , তবে এই কমলাপুর রেলস্টেশন ছাড়াও আপনারা বড় বড় রেল স্টেশন গুলাতে পেয়ে যাবেন ট্রেনের অগ্রিম টিকেট। এছাড়াও সহজ পদ্ধতিতে আপনারা এই ট্রেনের টিকেট সহজ ওয়েবসাইটে পাবেন।

ঈদের আগে টিকেট পাবেন

মাত্র ৬ হাজার টিকিটের জন্য ২ লাখ মানুষ লাইনে দাঁড়াচ্ছেন। অনলাইনে টিকিটের জন্য ৬ কোটি মানুষ প্রতিদিন ওয়েবসাইট হিট করছে। সহজে টিকেট কাটুন।

১ থে‌কে ৫ জুলাই পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে ৫ থেকে ৯ জুলাইয়ের ট্রেনের টিকিট বিক্রি হবে। আবার ৭ জুলাই থেকে ফিরতি যাত্রার টিকিট বিক্রি করা হ‌বে। অনলাইন টিকিটের অর্ধেক ওয়েবসাইটে এবং অর্ধেক অ্যাপে বিক্রি করা হ‌বে।

ঈদের পর টিকেট পাবেন

১। ৭ জুলাই পাবেনঃ  ১১ জুলাই টিকেট

২। ৮ জুলাই টিকেট পাওয়া যাবে ঃ  ১২ জুলাইয়ের,

৩। ৯ জুলাই টিকেট পাবেনঃ  ১৩ জুলাইয়ের এবং

৪। ১১ জুলাই ঃ ১৪ ও ১৫ জুলাইয়ের টিকিট বিক্রি করা হবে।

আগামী ৬ জুলাই থেকে ৯ জুলাই পর্যন্ত ঢাকামুখী একতা, দ্রুতযান,পঞ্চগড়, নীলসাগর, কুড়িগ্রাম, লালমনি ও রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনগুলোর বিমানবন্দর স্টেশনে যাত্রাবিরতি থাকবে না। আগামী ৬ থেকে ১৪ জুলাই পর্যন্ত মিতালি এক্সপ্রেস এবং ৭ থেকে ১৪ জুলাই পর্যন্ত মৈত্রী এক্সপ্রেস ও বন্ধন এক্সপ্রেস ট্রেন চলাচল করবে না।

আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে যাত্রীদের সুবিধার্থে ছয় জোড়া বিশেষ ট্রেন

১। দেওয়ানগঞ্জ স্পেশাল,

২। চাঁদপুর স্পেশাল ১, ২,

৩। বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম (পঞ্চগড়) ঈদ স্পেশাল,

৪। শোলাকিয়া স্পেশাল ১, ২।

অগ্রিম টিকিট বিক্রির ব্যবস্থাপনায় ছয়টি জায়গা থেকে বিক্রি করা হবে।

১। ঢাকা (কমলাপুর) রেলস্টেশন ঃ  সমগ্র উত্তরাঞ্চলগামী আন্তনগর ও বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম ঈদ স্পেশাল ট্রেনের টিকিট,

২। ঢাকা (কমলাপুর) শহরতলি প্ল্যাটফর্ম ঃ রাজশাহী ও খুলনাগামী সব আন্তনগর ট্রেনের,

৩। ঢাকা বিমানবন্দর ঃ  চট্টগ্রাম ও নোয়াখালীগামী সব আন্তনগর ট্রেনের,

৪। তেজগাঁওয়ে ঃ  ময়মনসিংহ, জামালপুর, দেওয়ানগঞ্জগামী সব আন্তনগর ট্রেন ও দেওয়ানগঞ্জ ঈদ স্পেশাল ট্রেনের,

৫। ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট ঃ মোহনগঞ্জগামী মোহনগঞ্জ ও হাওর এক্সপ্রেস ট্রেনের,

৬। ফুলবাড়িয়া ঃ  সিলেট ও কিশোরগঞ্জগামী সব আন্তনগর ট্রেনের এবং

৭। জয়দেবপুর ঃ বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম (পঞ্চগড়) এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিট বিক্রি করা হবে।

৩. এবার টিকিট কাটতে গেলে সাথে NID কপি নিতে ভুলবেন না। কারন এবার রেল ভ্রমণ নিরাপদ ও আরামদায়ক করার লক্ষ্যে “টিকিট যার ভ্রমণ তার” শ্লোগানে NID/Birth Certificate ইনফো ব্যাতিত কেউকে টিকিট দেয়া হবে না। সেই সাথে টিকিট হস্তান্তর যোগ্য নয়। আপনার টিকিটে অব্যশই আপনাকে ভ্রমণ করতে হবে। একজনের টিকিটে অন্যকেউ ভ্রমণ করলে অর্থ দন্ড সহ শাস্তির ব্যাবস্থা রয়েছে৷ আর একজন মানুষ সর্বোচ্চ ৪ টিকিট ক্রয় করতে পারবেন। তাই টিকিট কেটে ভ্রমণের ক্ষেত্রেও প্রমান হিসেবে মুল NID বা কপি সাথে রাখবেন।

৫. কাউন্টারের পাশাপাশি ৫০% টিকিট অনলাইনেও পাওয়া যাবে৷ তবে এবার কোন অ্যাপ থেকে টিকিট কাটার সুবিধা থাকছে না। শুধুমাত্র রেলের ই-টিকিট পোর্টাল থেকে অনলাইনে টিকিট কাটা যাবে৷ (https://eticket.railway.gov.bd)

৬. উক্ত সময়ে কাউন্টার থেকে সকাল ৮ টা থেকে বিকাল ৪ টা ও অনলাইনে সকাল ৬ টা থেকে টিকিট বিক্রি শুরু হবে।

১১. এবার ঈদ যাত্রায় প্রতিটি আন্তঃনগর ট্রেনে শুধুমাত্র মহিলা ও প্রতিবন্ধী যাত্রীদের জন্য একটি করে স্বতন্ত্র কোচ সংযোজন করা হবে।
১২. প্রতিটি টিকেট বিক্রয় কেন্দ্রে একটি করে মহিলা ও প্রতিবন্ধীদের জন্য কাউন্টার থাকবে।
১৩. ঈদের অগ্রিম টিকিট অফেরৎযোগ্য। অর্থাৎ বিক্রিত টিকিট ফেরৎ নেয়া হবে না।
১৪. স্পেশাল ট্রেনের কোন টিকেট অনলাইনে পাওয়া যাবে না। শুধুমাত্র রুট অনুযায়ী স্টেশন কাউন্টার হতে বিক্রি করা হবে।
১৫. টিকিট কালোবাজারী ঠেকাতে রেলের বিশেষ মনিটরিং টিম, নিরাপত্তা বাহিনী, পুলিশ, আরএনবি, বিজিবি, র‍্যাব সর্বক্ষণিক প্রহরায় থাকবে। এছাড়াও জেলা প্রশাসক এর সহযোগিতায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে।
১৬. বড় স্টেশন গুলোতে যেকোন পরিস্থিতিতে বা ইমারজেন্সিতে তৎক্ষণাৎ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার সুবিধার্থে কর্মকর্তা নিয়োগ করা হবে।
১৭. যাত্রীবাহী ট্রেন চলার সুবিধার্থে ঈদের ৩ দিন আগে থেকে অতিপ্রয়োজনীয় কন্টেইনার ও জ্বালানি তেলবাহী ট্রেন ছাড়া সকল গুডস ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকিবে। সেই সাথে যেকোন দুর্ঘটনা দ্রুত মোকাবেলায় নিজ নিজ অবস্থানে রিলিফট্রেন বা উদ্ধারকারী ট্রেন তৎপর থাকিবে।